প্রত্যয় নিউজ ডেস্কঃ পুলিশ কর্মকর্তাসহ প্রায় দেড় শ’ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার সদর থানায় গিয়েছিলেন পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের অন্যতম সহযোগী শিপ্রা দেবনাথ। তবে কক্সবাজার সদর থানা থেকে এ বিষয়ে মামলা করতে রামু থানায় যেতে বলা হয়েছে।
শিপ্রা দেবনাথ রাত সাড়ে ১১টার দিকে আইনজীবী মাহাবুবুল আলম টিপু ও সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাতসহ কক্সবাজার সদর থানায় যান। রাত ১২টার দিকে তাঁরা থানা থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এসময় শিপ্রা ও সিফাত কোনো কথা বলেননি। তবে শিপ্রার আইনজীবী মাহাবুবুল হক বলেন, ‘যেহেতু উনি (শিপ্রা) মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, তাই এখন কথা বলবেন না। আমরা আপনাদের সঙ্গে আবার বসব। আমরা আগে মামলাটা ফাইল করি।’
মামলার ঘটনাস্থল কক্সবাজার দেখানোর কারণ সম্পর্কে আইনজীবী বলেন, যেহেতু শিপ্রা এখন কক্সবাজারের আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের জলতরঙ্গ রিসোর্টে অবস্থান করছেন তাই ঘটনাস্থল হিসেবে কক্সবাজারকেই দেখানো হয়েছে।
সম্প্রতি শিপ্রার কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল। সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান এবং পিবিআইর বিশেষ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান শেলীর নামও অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শিপ্রা মামলা করতে চান বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।
শিপ্রার আইনজীবী মাহাবুবুল বলেন, ‘শিপ্রাকে আটক করার পর তাঁর কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ডিভাইস (মোবাইল ফোন), পেনড্রাইভ নিয়ে গেছে। এগুলো থেকে তাঁর ব্যক্তিগত ছবি, ‘জাস্ট গো’ তথ্যচিত্রের জন্য ধারণ করা ছবি আপত্তিকরভাবে এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেসহ ইউটিউব চ্যানেলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, কক্সবাজার সদর থানা তাদের মামলাটা নেয়নি। ওসি তাদের বলেছেন যেহেতু শিপ্রাসহ পুরো টিমের ডিভাইস রামু থানা জব্দ করেছে তাই এই অভিযোগটা ওই থানায় দেওয়াই সংগত। তাঁরা এখন বসে কথা বলে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন বলে জানান।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন